কিভাবে উইন্ডোজ ১১ তে ফাইল ফোল্ডার লক করবেন জেনে নিন
chopnochowa it
১ সেপ, ২০২৫
প্রিয় পাঠক বন্ধু আপনি কি কিভাবে উইন্ডোজ ১১ তে ফাইল ফোল্ডার লক করবেন এই
বিষয় নিয়ে জানতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই
আর্টিকেলে খুব সহজভাবে কিভাবে উইন্ডোজ ১১ তে ফাইল ফোল্ডার লক করবেন এ বিষয়ে
সকল তথ্য দিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
যাতে আপনারা খুব সহজেই উইন্ডোজ ১১ তে ফাইল ফোল্ডার লক করার সকল বিষয়ে
পূর্ণাঙ্গভাবে জানতে পারেন। তাই আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার
জন্য বিশেষ অনুরোধ রইলো। তাহলে চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা
যাক।
.
উইন্ডোজ কি
উইন্ডোজ হলো মাইক্রোসফট কোম্পানির তৈরি একটি অপারেটিং সিস্টেম। অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি সফটওয়্যার হচ্ছে উইন্ডোজ যা কম্পিউটার ল্যাপটপ বা ট্যাবে যে
কোন ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই সফটওয়্যার এর গুরুত্ব এত বেশি যে কোন
কম্পিউটার সফটওয়্যারকে এটি মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। কারন এটি
পরিচালনা করে সব সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারকে।
মাইক্রোসফট নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন।
সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে মাইক্রোসফট গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসসহ উইন্ডোজ নিয়ে
আসে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে এত জনপ্রিয়তার অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে এটি খুব
সহজেই নতুন ব্যবহারকারীরা এই অপারেটিং সিস্টেমের অভ্যস্ত হতে পারেন।
উইন্ডোজ থেকে সহজেই কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করে ফেলা যায় গ্রাফিক্যাল ইউজার
ইন্টারফেস বা জিইউআই এর মাধ্যমে। মাইক্রোসফট যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উইন্ডোজ
আপারেটিং সিস্টেমে কারো বেশি উন্নত করেছে।
উইন্ডোজ 11 ফাইল লক কেন করতে হয়
উইন্ডোজ ১১ ফাইল লক করার প্রধান কারণ হচ্ছে ডেটা সুরক্ষিতভাবে রাখা এবং অন্যান্য
ব্যবহারকারীকে ফাইল সম্পাদনা থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখা। উইন্ডোজ ১১ ফাইল কেন লক
করতে হয় আসল তা জেনে নেই--
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষাঃ
আপনার ব্যক্তিগত ফাইল যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পার্সোনাল ডকুমেন্ট, বা ছবি
অন্য কেউ যেন দেখতে না পায় তার জন্য ফাইল লক রাখা অবশ্যই জরুরি।
অবাঞ্ছিত পরিবর্তন রোধ করাঃ
কোন ফাইল বা ফোল্ডার পরিবর্তন বা মুছে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে হলো অবশ্যই লক করা
দরকার। উদাহরণ; কাজের গুরুত্বপূর্ণ সব ডকুমেন্ট, প্রজেক্ট ফাইল।
শিশু বা অন্য ব্যবহারকারীর অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণঃ
আপনি চাইলে কম্পিউটারে অন্য ব্যবহারকারীর থাকলে তাদের কিছু ফাইল দেখার বা এডিট
করার অনুমতি দিতে না পারলে লক করতে পারেন।
ডেটা লস থেকে সুরক্ষাঃ
র্যাম ডাউনলোড বা ভাইরাস আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ
ফাইলকে অতিরিক্ত নিরাপদ রাখতে ফাইল লক করা হয়ে থাকে।
সংগঠন বা অফিস ব্যবহারের নিরাপত্তাঃ
অফিসে একাধিক কর্মী একই কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। অফিস কর্মী একই কম্পিউটার
ব্যবহার করলে গুরুত্বপূর্ণ অফিস ডকুমেন্টের অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ রাখতে ফাইল
লক করা হয়ে থাকে।
উইন্ডোজ কি ঘরে বসে যে কেউ দিতে পারবে
হ্যাঁ উইন্ডোজ ঘরে বসে যে কেউ দিতে পারবে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম যে কোন
কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ইন্সটল খুব সহজেই করা যায়, এবং এটি ঘরে বসে যে কেউ দিতে
পারবে এর জন্য প্রয়োজন কিছু পূর্ব প্রস্তুতি ও কারিগরি জ্ঞানের। এর
জন্য কিছু বেসিক জিনিস জানা থাকতে হবে। যেমন--
ডাউনলোড করতে হবে Windows ISO ফাইল। এরপর কম্পিউটার রিস্টার্ট করে Boot Menu
থেকে পেনড্রাইভ সিলেক্ট করতে হবে। তারপর স্কিনে আসা নির্দেশ গুলো অনুযায়ী
উইন্ডোজ গুলো ইন্সটল করা যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন কিছু ভুল করলে ডেটা মুছে
যেতে পারে। তাই আগে সব ডেটা ব্যাকআপ দিয়ে নিতে হবে।
কিভাবে windows 11 তে ফাইল লক করবেন তার ২ টি উপায় ও ব্যাখ্যা
উইন্ডোজ ১১ তে ফাইল লক করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এখানে দুইটি জনপ্রিয় এবং
সহজ উপায় ব্যাখ্যা করা হলো। আসুন কিভাবে windows 11 তে ফাইল লক করবেন তার ২ টি
উপায় ও ব্যাখ্যা জেনে নেই--
উপায় ১ঃ ফাইল বা ফোল্ডার কে পাসওয়ার্ড দিয়ে এনক্রিপ্ট করা
ধাপসমূহঃ
রাইট ক্লিক করুন লক করতে চাওয়া ফাইল বা ফোল্ডারের ওপর।
Properties সিলেক্ট করার পর General Tab এ গিয়ে Advanced
বাটনে ক্লিক করতে হবে।
Encrypt contents to secure data এর বক্সে টিক চিহ্ন দাও।
সর্বশেষে এপ্লাই ক্লিক করে OK করুন।
উপায় ২: তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফাইল লক করা
বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে Windows 11-এ ফাইল লক করার
জন্য। যেমন: Folder Lock, WinRAR, 7-Zip ইত্যাদি।
উদাহরণ: WinRAR দিয়ে পাসওয়ার্ড দেওয়া--
সিলেক্ট করতে হবে ফাইল বা ফোল্ডার
রাইট ক্লিক → Add to archive সিলেক্ট করো।
আর ফোন চালু করতে হবে Set password।
তারপর পাসওয়ার্ড লিখে ওকে করতে হবে।
ল্যাপটপ এবং পিসি দুইটাতে কি একই রকম ভাবে ফাইল লক করা যায়
হ্যাঁ ল্যাপটপ এবং পিসি দুটোতেই একই রকম ভাবে ফাইল লক করা যায় কারণ উভয়ে
উইন্ডোজ ব্যবহার পদ্ধতি একই রকম হয়। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের
ক্ষেত্রে ফাইল বা ফোল্ডারের প্রোপার্টিজে গিয়ে এনক্রিপশন অপশন ব্যবহার
করে ফাইলকে খুব সহজেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন ফাইল এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে।
এছাড়াও ল্যাপটপ এবং পিসি দুটোতেই ফাইল লক করা সম্ভব তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন
ব্যবহার করে কারণ উভয়ে ডিভাইসেই একইভাবে কাজ করা যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে উইন্ডোজ ১১ তে ফাইল ফোল্ডার লক করবেন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উইন্ডোজ ১১
ফাইল ফোল্ডার লক করা সকল বিষয় আপনাদের মাঝে সহজভাবে তুলে ধরার চেষ্টা
করেছি।
আপনারা আজকের এই আর্টিকেল পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার
এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে তারা এই বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা
পেতে পারে। এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট
করবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url