ওয়ালেট নাম্বার কি ওয়ালেট নাম্বার বলতে কি বুঝানো হয়েছে

প্রিয় পাঠক বন্ধু ওয়ালেট নাম্বার কি ওয়ালেট নাম্বার বলতে কি বুঝানো হয়েছে এই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য হাজির হয়েছি আজকের এই আর্টিকেল নিয়ে। আজকের এই আর্টিকেলে ওয়ালেট নাম্বার কি ওয়ালেট নাম্বার বলতে কি বুঝানো হয়েছে এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা ওয়ালেট নাম্বার কি ওয়ালেট নাম্বার বলতে কি বুঝানো হয়েছে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।

ওয়ালেট নাম্বার কি

ওয়ালেট নাম্বার বলতে সাধারণত বোঝায় মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমকে (যেমন নগদ, বিকাশ, রকেট) ব্যবহৃত আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বার কে বোঝানো হয়ে থাকে। সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনি যখন একটি মোবাইল ওয়ালেট একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন আপনার মোবাইল নাম্বারটায় হবে ওয়ালেট নাম্বার। তখন এই নাম্বার দিয়েই টাকা পাঠানো, রিসিভ করা, রিচার্জ করা, বিল পরিশোধ ইত্যাদি খুব সহজে করা হয়ে থাকে। 

ওয়ালেট নাম্বার বলতে কি বোঝানো হয়েছে 

ওয়ালেট নাম্বার বলতে বোঝানো হয়েছে আপনার মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) বা ডিজিটাল ওয়ালেটের জন্য ব্যবহৃত নাম্বার। আরো সহজ ভাবে বলে দিচ্ছি আপনি যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনার বিকাশ নগদ রকেট ইত্যাদি এখন খুলেছেন, সেই নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারটাই হচ্ছে আপনার ওয়ালেট নাম্বার।

ওয়ালেট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়ে থাকে 

ওয়ালেট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়ে থাকে তার নিম্নে দেওয়া হলো--

জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID) ঃ
এনআইডি কার্ড অথবা স্মার্ট কার্ড লাগবে। ১৮ বছরের নিচে হলে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট লাগবে।

নিজস্ব মোবাইল নাম্বারঃ
যে নাম্বারে আপনি ওয়ালেট খুলবেন সেটা আপনার নিজের নামে নিবন্ধিত থাকতে হবে।

একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবিঃ
ওয়ালেট খুলতে অনেক ক্ষেত্রে ছবির প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিশেষ করে এজেন্ট পয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।

ফিঙ্গারপ্রিন্টঃ
কাস্টমার কেয়ার সেন্টার এ ফিঙ্গার প্রিন্ট অর্থাৎ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে।

আবেদন ফরমঃ
সাধারণত দোকানে গিয়ে একটি আবেদন ফরম নিতে হবে তারপর সে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফর্মে যে তথ্যগুলো চাইবে সেই তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।

ওয়ালেট কি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খোলা যায় না অন্য কোথাও যেতে হয়

হ্যাঁ ওয়ালেট ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে খুলতে পারবেন। এর জন্য শুধু প্রয়োজন নিজের এনআইডি কার্ড স্ক্যান করতে হবে, এরপর নিজের একটি সেলফি তুলতে হবে, অ্যাপ থেকে সব তথ্য যাচাই করে নিতে হবে, কয়েক মিনিটের মধ্যেই এসএমএস দিয়ে কনফার্মেশন আসবে এই কাজগুলো আপনি খুব সহজে ঘরে বসেই করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে এক্ষেত্রে আপনার অন্য কোথাও যেতে হবে না।

নগদ এবং বিকাশ এর ওয়ালেট নাম্বার কি 

নগদ এবং বিকাশ এর ওয়ালেট নাম্বার কি নিম্নে তা দেওয়া হলো--

নগদ ওয়ালেট নাম্বারঃ
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। বর্তমান ডিজিটাল যুগে সকল ডিজিটাল সেবা ঘরে বসে নিতে ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ টাকা নিয়ে আসতে পারেন দেশের বড় বড় বাণিজ্যিক ব্যাংকাররা গ্রাহকেরা এই তথ্য জানানো হয়েছে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়াও বাংলাদেশ ইসুকৃত যে কোন ভিসা এবং মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে বিনা খরচে নগদে টাকা যোগ করার সুযোগ তো আছেই নগদ ওয়ালেটে।

নগদ কর্তৃপক্ষ নগদ গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ১৩ টি ব্যাংকের সাথে এই সেবাটি চালু করেছেন খুব দ্রুততার সঙ্গে। এতগুলো ব্যাংকের সাথে দুই বছরের মধ্যে চুক্তি করার এই ঘটনাটি দেশের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে এক অন্যরকম প্রতিষ্ঠান।

বিকাশ ওয়ালেট নাম্বারঃ 
বিকাশ ওয়ালেট নাম্বারের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে এখন বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। বিকাশ ওয়ালেট নাম্বারের মাধ্যমে এখন মুঠোফোনের ব্যালেন্স রিচার্জ করা যায়, কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ করা যায়, কর্মীদের বেতন দেওয়া যায়, প্রবাসী আইন পাঠানো ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। একজন বিকাশ ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে যেমন বিকাশ ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা ঘরে বসে বাংলালিংক, গ্রামীণ ফোন, রবি, এয়ারটেল নাম্বারে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে খুব সহজে রিচার্জ করতে পারে।

ওয়ালেট ব্যাবহার করার সুবিধা এবং অসুবিধা

অনেক ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা নিচে সংক্ষেপে দেওয়া হল--

ওয়ালেট ব্যবহারের সুবিধাঃ ওয়ালেট ব্যবহারের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে সুবিধা গুলো হল--
সহজ লেনদেনঃ
ওয়ালেট ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে লেনদেন করা হয়। ওয়ালেট ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজে টাকা পাঠানো যায়, বিল গ্রহণ করা বা বিল পরিশোধ করা খুব সহজে ঘরে বসে করা সম্ভব হয়।

সময় সাশ্রয়ঃ ওয়ালেট ব্যবহারে সুবিধা হচ্ছে সময় সাশ্রয় হওয়া। কোন ব্যাংক এ গেলে লম্বা লাইন ধরে দাঁড়াতে হয় অনেক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানোর কোন ঝামেলা নেই। 

অনলাইনে কেনাকাটাঃ
ওয়ালেট ব্যবহার করার সুবিধার মধ্যে আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে অনলাইনে খুব সহজেই কেনাকাটা করা যায়। ই- কমার্স, মোবাইল রিচার্জ, বিল ইত্যাদিতে খুব সহজে ব্যবহার করা যায়।

নিরাপদঃ
ওয়ালেট ব্যবহার করার মাধ্যমে বড় নগদ টাকা বহন করার ঝুঁকি অনেকাংশই কমে যায়।

দ্রুত লেনদেন ঃ
ওয়ালেট ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে মিনিটের মধ্যে টাকা স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। দ্রুত টাকা লেনদেন করার জন্য ওয়ালেট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে অনেক।

অনলাইন আর্নিংঃ
বর্তমান এই আধুনিক যুগে অনেকে অনলাইন থেকে ইনকাম করে থাকে। যেমন বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে। যারা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে তারা খুব সহজেই ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা নেওয়া যায়।

বিভিন্ন সেবা একসাথে পাওয়া যায়ঃ
বিভিন্ন সেবা একসাথে পাওয়ার জন্য ওয়ালেটের সুবিধা রয়েছে অনেক। অনেক ব্যবহারে একসাথে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় যেমন--বিল পেমেন্ট, রিচার্জ, শপিং, টিকেট বুকিং ইত্যাদি।

প্রমোশন ও ক্যাশব্যাক সুবিধাঃ
ওয়ালেট ব্যবহারে অনেক সময় বিশেষ অফার ও ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।

ওয়ালেট ব্যবহারের অসুবিধা---
সব জিনিস ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই রয়েছে। এখন আমরা জানবো ওয়ালেট ব্যবহার অসুবিধা গুলো। আসুন ওয়ালেট ব্যবহারের অসুবিধা গুলো জেনে নেই--

ইন্টারনেট নির্ভরঃ
ওয়ালেট ব্যবহারের অসুবিধার মধ্যে রয়েছে ওয়ালেটে লেনদেন করতে হলে অবশ্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকা লাগবে। ইন্টারনেট না থাকলে লেনদেন করা যায় না।

ফি সংক্রান্ত বিষয়ঃ
ওয়ালেটে লেনদেন করার ক্ষেত্রে বড় লেনদেন বা ট্রান্সফার করলে কখনো ফ্রি দিতে হতে পারে।

নির্দিষ্ট সীমাঃ
ওয়ালেট ব্যবহার অসুবিধা হল প্রতিদিন বা মাসে নির্দিষ্ট লেনদেনের সীমা থাকে। এই সীমার মধ্যেই লেনদেন করতে হয়।

প্রযুক্তিগত সমস্যাঃ
ব্যবহারের অসুবিধা গুলোর মধ্যে আরো একটি হচ্ছে প্রযুক্তিগত সমস্যা। যদি একবার সার্ভার ডাউন হয়ে যায় তাহলে লেনদেন অসম্ভব।

ব্যবহার সীমাবদ্ধতাঃ
সব দোকানে বা সেবা প্রদানকারী ডিজিটাল প্রেমেন্ট গ্রহণ করে না। তাই কখনো কখনো নগদ অর্থের প্রয়োজন হতে পারে।

লেখকের শেষ মন্তব্য  

প্রিয় পাঠক ওয়ালেট নাম্বার কি ওয়ালেট নাম্বার বলতে কি বুঝানো হয়েছে এই সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে খুব সহজভাবে ওয়ালেট নাম্বার কি ওয়ালেট নাম্বার বলতে কি বুঝানো হয়েছে এই সম্পর্কে আমরা খুব ভালোভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধু এবং পরিবারের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে তারাও এই বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url