কিভাবে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করতে হবে জেনে নিন

কিভাবে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করতে হবে অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করতে হবে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। 


আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে গুগল ট্রেন্ডস সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন। বিস্তারিত তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

.

google টেন্ড কাকে বলে 

Google ট্রেন্ডস হচ্ছে গুগল কোম্পানির তৈরিকৃত একটি টুল। গুগল ট্রেন্ডস গুগল দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। গুগল ট্রেন্ডস বর্তমান সময়ে ব্যবহারকারীর দ্বারা সর্বাধিক অনুসন্ধান করা সমস্ত কীওয়ার্ডের তালিকা দেখায়। গুগল ট্রেন্ডস গ্রাফ আকারের ডাটা দেখায়। এ গ্রাফে কিওয়ার্ডের জনপ্রিয়তা ০ থেকে ১০০ নাম্বারের মধ্যে ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। যে কিওয়ার্ডটি ০ থাকে সে কিওয়ার্ডটি কম সার্চ হয় আর যে কিওয়ার্ডটি ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে সে কিওয়ারটি অনেক বেশি সার্চ হয়। 
এর সাথে গুগল ট্রেন্ড বলে যে মানুষ কতবার কোন কিওয়ার্ড সার্চ করে থাকে এবং কোন অবস্থান থেকে সার্চ করছে। গুগল ট্রেন্ড মানুষদেরকে অনেক ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। যেমন কিওয়ার্ডের তুলনা, ডাটা ফিল্টার, রিয়েল টাইম ডেটা ইত্যাদি। আপনি যে কোন কিওয়ার্ডের সমস্ত তথ্য গুগল ট্রেন্ডস মাধ্যমে দেখতে পারবেন। google ট্রেন্ড মাধ্যমে আপনি চেক করতে পারবেন কোন কিওয়ার্ডটি ট্রেনিং এ চলছে। এছাড়া গুগল ট্রেন্ড এর মাধ্যমে আপনার নিজ সম্পর্কিত ট্রেনিং কিওয়ার্ডটি খুঁজে পেতে পারেন।

google টেন্ডের কাজ কি 

Google টেন্ডের এর মাধ্যমে কখন কোন ট্রেন্ড চলছে সে সম্পর্কে আপডেট জানা যায়। নতুন কোন কিওয়ার্ড খুঁজে পাওয়ার জন্য গুগল ট্রেন্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কি নতুন কিওয়ার্ড সার্চ সম্পর্কে জানা যায়? Google ট্রেন্ড একটি ফ্রী টুলস। 

কোন কিওয়ার্ডের সার্চ করার প্রবণতা ও সার্চ ভলিউম সম্পর্কে জানা যায় এই ফ্রী টুলস এর মাধ্যমে। google ট্রেন্ড একটি ভালো দিক রয়েছে। google ট্রেন্ড গ্রাফ আকারে কিওয়ার্ডে সার্চ প্রবণতা দেখানো হয়ে থাকে। এমনকি দুইটি ওয়ার্ড একসাথে তুলনা করেও দেখানো হয়। যাতে করে খুব সহজেই বোঝা যায় বর্তমান সময়ে কোন কিওয়ার্ডটির জনপ্রিয় এবং কোন কিওয়ার্ডটি নিয়ে কাজ করলে ভালো রেসপন্স পাওয়া যায় তা বোঝা যায়।

google ট্রেন্ডের এর মাধ্যমে ব্লগ পোস্টটি কিভাবে প্রচার করা যায় 

google ট্রেন্ডের এর মাধ্যমে ব্লগ পোস্টটি কিভাবে প্রচার করা যায় আসুন জেনে নেই---
প্রতিদিনের ট্রেনিং টপিক গুলো খুঁজে পাওয়ার জন্য গুগল তৈরি করে রেখেছে গুগল ফ্রেন্ড। গুগল ট্রেন্ড ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো খুব সহজে জানতে পারবেন। google ট্রেন্ড এ থাকা ট্রেনিং বিষয়গুলো দেখুন এবং সে বিষয়ে আপনার ব্লক পোস্ট তৈরি করুন। আপনি যে বিষয়গুলোর ট্রেনিং দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো নিয়ে কাজ করলে জনপ্রিয় হবে।

  • আপনার ব্লগ পোস্টে মৌলিক এবং আকর্ষণীয় বিষয় নির্বাচন করুন যা আপনার লেখার প্রতিবেদনকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
  • আপনার ব্লগ পোস্টের ট্রেনিং বিষয়গুলোকে খুব ভালোভাবে Seo করুন। Seo আপনার ব্লগ পোস্টকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করে। Seo আপনার ব্লগ পোস্টকে এক্সপোজ করার জন্য সাহায্য করবে এবং প্রতিদিনের ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করবে। এবং সেই সাথে সাথে ভাইরাল হতে সাহায্য করবে।
  • আপনার ব্লগ পোস্টকে ভাইরাল করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেমন facebook, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম প্রচার করুন।
  • আপনার ব্লগ পোষ্টের প্রতিটি বিজ্ঞাপন আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। যদি বিজ্ঞাপন আকর্ষণীয় হয়ে থাকে তাহলে ভিজিটর বাড়বে। আর ভিজিটর বাড়লে আপনার ব্লগ পোস্টটি ভাইরাল হতে সাহায্য করবে।

গুগল সার্চ টেন্ডিং কিভাবে দেখা যায় 

  • প্রথমে আপনার ফোন অন করে ওয়েব ব্রাউজারে গুগলে যেতে হবে। 
  • এরপরে সার্চ বাড়ে গুগল টেন্ড লিখুন এবং ইন্টার ক্লিক করে গুগল ট্রেন্ডস ওয়েবসাইটে যান। গুগল ট্রেন্ডস যাওয়ার পর ওপরের দিকে একটি ট্রেনিং ট্যাব থাকবে। এটা ক্লিক করুন।
  • এরপর আপনি সার্চ বিভাগে যান। সার্চ বিভাগে যাওয়ার পর দেখবেন যে বিভাগগুলোর একটি তালিকা রয়েছে। বিভাগ নির্বাচন করুন যেটি আপনি দেখতে চান। উদাহরণস্বরূপ সৌন্দর্য এবং ফ্যাশন বা চাকরি ও শিক্ষা।
  • আপনি যে সময় কালের জন্য ট্রেনিং সার্চ দেখতে চান তা নির্ধারণ করুন। সাইডের উপরের পাতায় একটি বার থাকবে যেখানে আপনি আজ, গত সপ্তাহ বা গত মাস নির্বাচন করতে পারবেন।
  • এরপর ডাটা গুলো নির্বাচন করুন যেমন নাটক, গান, স্পোর্টস ইত্যাদি
  • ট্রেনিং সার্চ বিষয়ে আপনি এখন সকল তথ্য দেখতে পারবেন। এটি  চার্ট বা তালিকায় প্রদর্শিত হবে, তার সাথে তথ্যগুলো প্রদর্শিত হবে যেটা দেখে আপনি বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
  • উপরোক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে আপনি গুগল সার্চ ট্রেন্ডিং দেখতে পারবেন।

গুগল টেন্ড কিভাবে ব্যবহার করতে হয় 

গুগল টেন্ড এ আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে আপনি খুব সহজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি সার্চ বারে আপনার ব্লগ সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সার্চ করুন। তারপরে গুগল টেন্ড আপনাকে আপনার কিওয়ার্ড সম্পর্কে সকল তথ্য দেবে, যাতে আপনি জানতে পারেন সেই কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা যাবে কিনা। কারণ google টেন্ড গ্রাফ আকারে কিওয়ার্ডে সার্চ প্রবণতা দেখানো হয়ে থাকে। তখন আপনি বুঝতে পারবেন কোন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা উচিত। 

ধরুন আপনি আপনার ব্লগে রোগের চিকিৎসা নিয়ে আর্টিকেল লিখে থাকেন, তাহলে আপনি সার্চবারে যে রোগটা হয়েছে সেটার চিকিৎসা লিখে সার্চ করুন। গ্রাফের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার এই কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা উচিত কিনা। আপনি একটি কিওয়ার্ডের সাথে অন্য কিওয়ার্ডের তুলনা করতে পারবেন। দুইটা কিওয়ার্ডের সাথে তুলনা করে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা উচিত হবে। এভাবে আপনি গুগল ফ্রেন্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
আপনি যদি অনলাইন পাবলিশার বা ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাজের জন্য আপনি পারফেক্ট নিশ খুঁজে বের করার জন্য আপনার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হলো গুগল টেন্ড। গুগল টেন্ড হলো একটি এসেন্সিয়াল মার্কেটিং টুলস যা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আপনি অনলাইন বিজনেসে সফল হতে পারবেন।

আপনি যদি মার্কেটের হয়ে থাকেন তাহলে কোন কিওয়ার্ড আপনার ক্লায়েন্টের অ্যাডস  প্লেস করতে পারলে আপনি সবথেকে বেশি পোটেনশিয়াল কাস্টমার এনে দিতে পারবেন তার রিচার্জ করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে গুগল টেন্ড। গুগল টেন্ড এর মাধ্যমে এ কাজটি আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য 

ওয়েব সার্চ ট্রেন্ড ও বিষয়গুলো তথ্য সরবরাহ করতে গুগল টেন্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি দুইটি কিওয়ার্ডের তুলনা করে আপনার কনটেন্ট বা ব্যবসার জন্য সেরা কিওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন গুগল ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে। আপনি একটি নির্দিষ্ট দেশে কোন কিওয়ার্ড টি বেশি সার্চ হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে পারবেন, তারপর আপনি সে অনুযায়ী আপনার আর্টিকেলটি র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন। google টেন্ড এর মাধ্যমে আপনি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে দিতে পারবেন এবং কম সময়ে অধিক ট্রাফিক পেতে সাহায্য করে। google টেন্ড সাহায্যে আপনি যে কোন কিওয়ার্ডের সম্পূর্ণ ইতিহাস দেখতে পাবেন।

প্রিয় পাঠক আজ আমরা কিভাবে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করতে হবে এই সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা পেলাম। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে গুগল টেন্ড সম্পর্কে সকল ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আপনাকে অন্য কোথাও যেতে না হয়। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। যদি আজকে আর্টিকেলটি পুরো উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পরিবার এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে ভুলবেন না। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url