নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সহ জ্বরের জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো
প্রিয় বন্ধুরা আপনি কি নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম কারণ সহ জ্বরের সময় কোন
ট্যাবলেট খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই
আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন যদি ওপেন করে থাকেন তাহলে আপনাকে আজকের আর্টিকেলে
স্বাগতম কারণ আজকের আর্টিকেল হতে চলেছে খুবই মূল্যবান একটি
আর্টিকেল।
যেখান থেকে আপনি নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে সকল বিষয়বস্তু জানতে পারবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে বিস্তারিত নিজের কিওয়ার্ড গুলো স্টেপ বা স্টেপ ফলো করে একটানা পড়ে যেতে হবে।
.
নাপা খাওয়ায় কি কি উপকারিতা রয়েছে
নাপা ট্যাবলেট একটি প্যারাসিট আমল নামেই সবার কাছে পরিচিত এবং এটিতে রয়েছেন
নানারকম উপকারিতা। আমরা হয়তো নাপা ট্যাবলেটের অনেক রকম উপকারিতা জানি আবার
অনেকেই অনেক রকম উপকারিতা জানিনা আর যারা আর নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার এই উপকারিতা
গুলো জানে না তাদের জন্যই মূলত আজকের আর্টিকেলিটি লেখা।
নাপা ট্যাবলেট মূলত অনেক রকম ফর্মুলা এবং উপাদান দিয়েই তৈরি হয় থাকে যার কারণে
এটি জ্বরের উপশম করতে একটি নিরাপদ ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় থাকে। আপনি কি
জানেন নাপা খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে যদি না জানেন তাহলে চলুন জেনে নেই নাপা
খাওয়ার উপকারিতা কি
- মাংসপেশির ব্যথা দূর করে
- ইনজেকশন নেওয়ার পরে হাত ব্যথা বা যদি হালকা গায়ে জ্বর আসে সেই ব্যথা উপশম করে
- জ্বর কমাতে সাহায্য করে
- পুরো শরীরে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
- মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় যে ব্যথা হয় সেই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
- প্রসব পরবর্তী ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
- অনেক শিশুদেরই টিকা দেওয়ার পরে গায়ে জ্বর এসে থাকে আর সেই জ্বর কমাতেই সাহায্য করেন নাপা
- কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
- অনেকেই যারা দীর্ঘদিনভর দাঁত ব্যথার সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকে বিশেষ করে তাদের দাঁত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
- মাথা ব্যাথা উপশম করে ইত্যাদি শহ নাপা উপকারিতা বলেও শেষ নয়
দিনে কতবার নাপা খাওয়া যাবে
দিনে কতবার নাপা খাওয়া যাবে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তিত হয়ে থাকি তবে
আমি বলবো চিন্তার কোন কারণ নাই কারণ আপনি এই আর্টিকেল এর এই কিওয়ার্ডটির মাধ্যম
থেকেই জানতে পারবেন দিনে কতবার নাপা খাওয়া যাবে বা কত ঘন্টা পর পর খেতে পারবেন।
আমরা হয়তো ইতিমধ্যে উপরের কিওয়ার্ড টিতে নাপা খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে
জেনে এসেছি এছাড়াও নিচের কিওয়ার্ডগুলোতে আরো নাপা সম্পর্কে জানব বিস্তারিত।
দিনে কতবার নাপা খাবেন সেই নিয়ে যদি চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের স্টেপ গুলো
ফলো করুন
ডাক্তারদের পরামর্শে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নাপা 500 মি.গ্রা. ট্যাবলেট যেভাবে
খেতে বলেন তা হচ্ছে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি অথবা সকালে একটি রাতে একটি। তবে আপনি
২৪ ঘন্টার মধ্যে চাইলেই আটটি ট্যাবলেটও সেবন করতে পারবেন তবে অবশ্যই সর্বনিম্ন
চার ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে। এছাড়াও সব থেকে ভালো হয় আপনি যদি 6 থেকে সাত
ঘন্টা পর একটি করে নাপা সেবন করে থাকেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ 6 থেকে 12 বছর শিশুদের জন্য প্রতি ডোজ আধাঘন্টা একটি
ট্যাবলেট খেতে পারবে এবং দিনে তিন থেকে চারবার সেবন করানো যেতে পারে। তবে একটানা
দুই থেকে ছয় দিন খেতে পারবে। তবে অতিরিক্ত নাপা ট্যাবলেট খাওয়া কখনোই উচিত নয়
২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বনিম্ন আটটি ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে তবে আটটির কম করাই
বেশি ভালো এতে করে লিভারের কোন সমস্যার ঝুঁকি থাকে না। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের
জন্য নাপা এড়িয়ে চলাই ভালো যদিও খেতে হয় তবে নিম্ন মাত্রায় খাওয়া
উচিত।
জ্বরের জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো
জ্বর একটি সাধারন শারীরিক প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে এবং এটি যে কোন সময় যেকোনো
কারণেই হতে পারে হতে পারে স্বাস্থ্যের কোন সমস্যা থেকে এবং ঠান্ডা লাগাবা অন্যরকম
কোন আবহাওয়া থেকেও এটি হতে পারে। তাই জ্বর হলে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই বরং
ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে জ্বর কিভাবে ভালো করবেন এই নিয়ে ভাবাটাই বেশি
ভালো।
গায়ে জ্বর আসা মাত্রই আমরা হয়তো নানারকম জ্বরের বড়ি না জেনে না বুঝেই খেয়ে
ফেলি বা সেই বড়ির পাওয়ার টা কেমন তার উপকারিতা কেমন কি কি কাজের সেই বডিটা
আমাদের শরীরের সাথে ম্যাচ করবে এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো না জানার কারণেই হয়তো
আমাদের মাঝে সাঝে অনেক বড় সমস্যায় পড়তে হয় যেটি আমরা নিজের অজান্তেই করে ফেলি
সেই সমস্যাটি।
তাই জ্বর আসলে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে জ্বরের ওষুধ খাওয়াটাই বেশি জরুরী তবে
জ্বর আসলে জ্বরের জন্য কোন ট্যাবলেট গুলো ভালো সেই নেই বিস্তারিত জানাতে চলেছে
চলুন বিস্তারিত অত কথা না বাড়িয়ে জেনে নিন।
জ্বরের জন্য মূলত প্যারাসিট আমল কেই একটি নির্বাচিত ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়
থাকে কেননা এটি ব্যথা বা জ্বর উপশমের সাহায্য করে। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক
সহজে কোন বয়সের মানুষ এটি সেবন করতে পারবে। তবে কখনোই পরিমাণের চেয়ে বেশি
পরিমাণ খাওয়াটা ঠিক না এতে করে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটটি অতিরিক্ত পরিমাণ জ্বর এবং শরীরের হালকা ব্যথার কমাতে বেশ
কার্যকরি। তাই এটি জ্বর আসলেও চাইলেই খাওয়া যেতেই পারে। তবে অবশ্যই ওষুধের
প্যাকেটে যা নির্দেশনা বলি দেওয়া থাকবে সেগুলো মেনে ওষুধ সেবন করার চেষ্টা করবেন
এতে আপনার জন্য বেশি সুবিধা হয়ে থাকবে।
খালি পেটে প্যারাসিট আমল কি খাওয়া যাবে
খালি পেটে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে কিনা আমরা অনেকেই চিন্তিত হয়ে থাকি বা এর
সঠিক তথ্যটি না জানার কারণে অনেকেই প্যারাসিট আমল খাইনা তবে আপনি যদি সঠিক
নিয়মটি জানার জন্যই এই আর্টিকেলটি ওপেন করে থাকেন এবং জানতে চেয়ে থাকেন খালি
পেটে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে কিনা তাহলে বলব হ্যাঁ অবশ্যই খালি পেটে
প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে।
তবে খালি পেটে প্যারাসিট আমল খাওয়া গেলেও কিছু কিছু মানুষদের ক্ষেত্রে খালি পেটে
প্যারাসিট আমল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তবে এখন হয়তো ভাবছেন আপনি কিভাবে বুঝবেন
কাদের খালি পেটের প্যারাসিটামল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে? তবে চলুন জেনে নেই নিচে
কাদের খালি পেটে প্যারাসিটআমল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- যাদের লিভার বা কিডনির কোন সমস্যা রয়েছে
- যাদের সব সময় মাথা ঘুরায় বা অল্পতে শরীরটা অনেক দুর্বল লাগে
- নিয়মিত অ্যালকোহল সেবনকারীদের প্যারাসিট আমল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয় খালি পেটে।
- এছাড়াও যাদের শরীরের কোন রোগ বাধি রয়েছে এবং সেটি জানে তাদেরও খালি পেটে প্যারাসিট আমল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
নাপা খেলে কি কোন ক্ষতি হয়
আমরা হয়তো উপরের কীওয়ার্ড গুলোতে নাপা খাওয়ার উপকারিতা সহ খালি পেটে প্যারাসিট
আমল খাওয়া যাবে কিনা এই নিয়ে নানা রকম তথ্যই জেনে এসেছি তবে আপনি কি জানেন নাপা
খেলে কি কোন ক্ষতি হয় কিনা এই বিষয়টি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই গুরুত্ব
আকারে নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
এতে আপনার স্বাস্থ্য কোন রোগ বাধি ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। আমরা শুরুতেই জেনে
এসেছি প্যারাসিটামল পরিমাণ অনুযায়ী সেবন করা উচিত পরিমানে অধিক পরিমাণ খাওয়া
উচিত নয়। এই পরিমাণ বিষয়টি না জেনে না বুঝেই অতিরিক্ত পরিমাণ নাপা খেয়ে ফেলে
তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যের কিছু ক্ষতি দেখা দিতে পারে তবে সেই ক্ষতি গুলোর মধ্যে
রয়েছে
- লিভারের ক্ষতি
- মানসিক প্রভাব
- রক্তচাপ বৃদ্ধি
- চর্ম রোগ
- এলার্জি
- কিডনি সমস্যা
রক্তের সমস্যা
ব্রেন্টের সমস্যা ইত্যাদি সহ এর সমস্যা গুলো দেখার দিতে পারে অতিরিক্ত নাপা
খাওয়ার ফলে। খেতে হলেও অবশ্যই নাপা খাওয়ার নিয়ম কারণ জেনে এবং ডাক্তারের কাছে
গিয়ে না পাখার পরামর্শ গুলো জানার পরে তারপর নাপা খাওয়ার সিদ্ধান্ত
নিবেন।
নাপা ওয়ানের ৫০০ প্রতিক্রিয়া
নাম্বার ওয়ান এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে তাই
বিশেষ করে তাদের জন্য এই আজকের আর্টিকেলটি কিওয়ারটি লেখা যারা নাপা অয়ানে ৫০০
প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকে। আমরা যে কোন ওষুধ শরীর স্বাস্থ্যের জন্য
খাই না কেন সেটি অবশ্যই পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ কখনোই সেবন করা উচিত নয় এটি
গবেশক থেকে শুরু করে ডাক্তাররা বলে থাকেন। প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে যেগুলো তা
হচ্ছে
- লিউকোপোনিয়া
- বমি বমি ভাব
- রিক্ত পরিমাণ ক্ষুধা লাগা
- পেট ব্যথা
- হালকা এলার্জি
- ত্বকের খসখসে সমস্যা
- চুলকানি
- লিভার বা কিডনির সমস্যা
- রক্তের উপাদান পরিবর্তন ইত্যাদি
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে মূল টপিকটা ছিল নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সহ
জ্বরের জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো হবে আশা করছি আপনারা আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়ে এসেছেন এবং আজকের আর্টিকেলের নানা রকম কিওয়ার্ড গুলো পড়ে
আপনার ভালো লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছেন যদি আজকের আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত শেষ
পর্যন্ত ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত এবং
প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরও এই কথা গুলো জানার সুযোগ করে দিবেন এছাড়াও
আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য বক্সে জানিয়ে
যাবেন। উক্ত আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url