নাপা সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম কারণ সহ বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠকেরা' আমরা হয়তো আমাদের শিশুদের নাপা কম বেশি সবাই খাইয়ে দিয়ে থাকি তবে এ নাপা সিরাপ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম কারণ সম্পর্কে কি আপনি আজও সঠিক তথ্যটি জানেন যদি জেনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই হাতের পাঁচটি মিনিট সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়বেন কারণ এই আর্টিকেলটি হতে চলেছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। 
নাপা সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম কারণ সহ বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি আপনার সন্তানকে নিজের অজান্তেই নাপা সিরাপ বেশি খাইয়ে ফেলছেন না তো বা যে পরিমাণে খাওয়া উচিত তারও অধিক অথবা কম খাওয়াচ্ছেন না তো যদি আপনার মনে হয় থাকে এই কথাটি আপনার জন্য জানা প্রয়োজনীয় তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে একটানা শেষ পর্যন্ত পড়ে যাবেন। 

.

নাপাক সিরাপ এর কাজ কি 

নাপা সিরাপ যেটি প্যারাসুট আমলের নানা রকম ফর্মুলা দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এক কথায় বলা যেতে পারে একটি প্যারাসিটামল উৎপাদন নাপা। সিরাপ যেটি আমরা কুম বেশি অধিকাংশ সবাই চিনি বা আমরা যদি বলি নাপা সিরাপ চিনিনা এটা বললে হয়তো আমাদেরই বলা ভুল হয়ে থাকে কারণ নাপা সিরাপ এমন একটি সিরাপ যেটি জ্বর কমানো থেকে শুরু করে শরীরের নানা রকম ব্যথা উপশম এবং সাধারণ ঠান্ডা লাগার ব্যথা ও শরীরের যেকোন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। 
তবে আপনি হয়তো এটুকুতে বুঝে গেছেন নাপা সিরাপের কাজ কি নাপা সিরাপ দুর্দান্ত কাজ করে থাকে এই সিরাপ মূলত শিশুদেরকে খাওয়ানো হয় তবে বড়দের জন্য নাপা ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নাপা সিরাপ এর অনেক গুণাবলী রয়েছে যেমন সে গুণাবলীর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, গলার ব্যথা, হালকা গায়ে জ্বর জ্বরের ভাব বা ঠান্ডা জনিত সমস্যা, দাঁতের ব্যথা, ইত্যাদি উপশম করতে প্রধান কাজ করে থাকেন নাপা। 

বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরেই পরিচিত একটি ঔষধের নামই হলো নাপা বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। আপনি হয়তো নাপা বাজারে নানা ব্র্যান্ডেরই দেখতে পাবেন তবে নানা ব্র্যান্ডের নাপা হলেও এক কথায় এটি একটি প্যারাসিটামল। নাপা সিরাপ অ্যানলজেসিক এবং অ্যান্টিবাইয়েটিক যা জ্বর কমাতে এবং ব্যথার নাশক যেকোনো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে। 

এছাড়া অনেককেই দেখা যেয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা বা ইনজেকশন নেওয়ার পরেই গায়ে হালকা জ্বরের ভাব হয় বা শরীরে অনুভব করে থাকে আর্থিক তখনই কিন্তু নাপা খেলে ইনজেকশন নেওয়ার পর যে ব্যথাটা অনুভব করতে হয় সেই ব্যথাটার থাকে না। এক কথায় বলা যেতেই পারে নাপার অনেক গুনাগুন রয়েছে। 

নাপা সিরাপের বোতল খোলার পর কতদিন পর্যন্ত খাওয়ানো যায় 

শিশুদের জ্বর বা যেকোনো ব্যথা জড়িত রোগ হওয়া মাত্রই আমরা নাপা সিরাপ কে বেছে নিয়ে থাকি তবে আমরা কি জানি নাপা সিরাপের বোতল খোলার কতদিন পর্যন্ত সেই শিশুটিকে নাপা সিরাপ খাওয়াতে পারবেন। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা এই বিষয় গুলো না জেনেই নাপা সিরাপ হয়তো এক মাস আগেও বোতল খুলে রেখেছি দেখা গেল শিশুটির একমাস পর আবার জ্বর এসেছে সেই খোলা বোতলের ঔষধি খাওয়াচ্ছি শিশুদের। 

তাই যেকোন ঔষধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই জেনে বুঝে সতর্কতামূলক ভাবে খাওয়ানো উচিত। নাপা আমাদের খুবই পরিচিত একটি ঔষধ যেটি আমরা সবাই চিনি। এটি কমবেশি সবার ঘরে পাওয়া যেয়ে থাকে বিশেষ করে যাদের করে একটি শিশু রয়েছে। তবে এটি কম বেশি সবার ঘরে পাওয়া গেলেও নাপা সিরাপ এর বোতল খোলার পর কত দিন পর্যন্ত ব্যাবহার করা যাবে এটি অনেকেই জানেনা। 

আপনি যখনই কোন বোতলের ঔষধ খুলে শিশুকে খাওয়াতে শুরু করবেন তখন থেকেই আপনার ওই খোলা বোতলটিতে মেয়াদ অনুযায়ী ভালো থাকে এবং তারপর পরবর্তীতে দিন দিন নানারকম ওষুধেরই কার্যকরিতা হাঁস পায় যার পরবর্তীতে খাওয়ালে শিশুর জন্য স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। তাই এটি আপনার জানা অবশ্যই আবশ্যক যে নাপা সিরাপের বোতল খোলার কতদিন পর পর্যন্ত খাওয়ানো যায়। 

মোটামুটি শিশুদের ক্ষেত্রে বোতলজনিত যেগুলো ঔষধ দিয়ে থাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বোতল খোলার পর পাঁচ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ব্যবহার করে শেষ করে দাওয়াই বেশি ভালো হয়। এছাড়া অনেক সময় দেখা যেয়ে থাকে ৩০ দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে বোতল খোলার পরে। তাই আপনার কতদিন পর্যন্ত মেয়াদ আছে এটি জানার জন্য আপনি যে ওষুধটি নিয়েছেন বা যে বোতলটি শিশুকে খাওয়াচ্ছেন সেই বোতলের যে নির্দেশবলী রয়েছে বা 

উৎপাদন তারিখ সহ কত দিন পর্যন্ত খেতে বলেছে সেই নিয়ম গুলোই ফলো করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে বোতলের ওষুধের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন না হলেও এক মাসের বেশি কখনোই সেই ওষুধটি খাওয়ানো উচিত নয়। এখন আপনার হয়তো মনে হতেই পারে আমিতো ঔষুধ খাওয়ায়ে ভালো করে বোতলের মুখটা লাগিয়ে ঠান্ডা যুক্ত স্থানে রেখেছি তাহলে কেন একমাস পর আমি সেই বোতলের ঔষধটি খাওয়াতে পারবো না। 

একমাস পরে এই জন্যই খাওয়াতে পারবেন না যে বোতলের ঔষধটি খুলবেন তখনই ধীরে ধীরে সে ওষুধের নানা রকম ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করবে বাতাসের সঙ্গে এবং ঐই ঔষধের ফর্মুলা গুলো দিয়ে কার্যকরিতা রয়েছে সেই সবগুলো নষ্ট হয়ে ব্যাকটেরিয়া রোগ ধারণ করবে যার কারণে বলা হয়ে থাকে বোতল খোলার পর ১ মাস পার হলে ওষুধ শিশুকে না খাওয়াতে।

নাপা সিরাপ খালি পেটে খাওয়ানো যায় কিনা জেনে নিন  

নাপা সিরাপ বাংলাদেশের প্রধানতম একটি ওষুধ যা শিশুদের এবং বড়দের জন্যেও ওষুধটি কার্যকর হয়ে থাকে। আমরা কি জানি নাপা সিরাপ খালি পেটে খাওয়ানো যাবে কিনা শিশুকে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কিওয়ার্ড টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নাপা সিরাপ অথবা নাপাও ওষুধ অবশ্যই আপনি খালি পেটে খাওয়াতে পারবেন কেননা এটি একটি পারাসিটামল আর পারাসিট আমল সকল ঔষধই খালি পেটে খাওয়ানোর যায়। 

কেননা এটি পাকস্থলীর জন্য সাধারণ উত্তেজনক নয় তাই এটি নিশ্চিন্তে খাবার ছাড়াও বা ক্ষুধা না লাগলেও খালি পেটে খাওয়ানো যেয়ে থাকে। তবে এটি খালি পেটে খাওয়ানো গেলেও এর কিছু সর্তকতা ও রয়েছে যেগুলো আপনাকে মানতে হবে যেমন অতিরিক্ত মাত্রায় বা 

সব সময় খাওয়ানো যাবে না অন্তত ছয় ঘন্টা অথবা সাত ঘন্টা সর্বনিম্ন থাকতে হবে আপনি ছয় থেকে সাত ঘন্টা পর পুনরায় আবার খাওয়াতে পারবেন তবে শিশুটির ক্ষেত্রে যদি একেবারেই পেট খালি থাকে বা কোন রকম জটিল সমস্যা থাকে তাহলে এটি খাবার খাওয়ানোর পরেই খাওয়ানো উচিত। 

নাপা সিরাপ এর দাম 

নাপা সিরাপ আমরা শিশুকে কমবেশি সবাই খাওয়ায় এবং এটি কত দাম অনেকেই জানে তবে যারা নতুন নাপা সিরাপ সম্পর্কে জানেন না বা নাপা সিরাপের দাম কত হতে পারে এই নিয়ে সঠিক তথ্যটি জানে না তাদের জন্যই মূলত এই কিওয়ার্ডটি আমার লেখা। 

যদিও নাপা সিরাপ এক একটি ফার্মেসিতে এক এক রকমের দাম হতে পারে তবে সর্বনিম্ন যেই দামটি হয়ে থাকে নাপা সিরাপের সেটি হচ্ছে ৩০ টাকা। তবে ফার্মেসি অনুযায়ী এর দামটা একটু ভিন্নতা হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যেই হতে পারে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন যে ফার্মেসি থেকে কিনছেন সেটি সেখানেই দরদাম করে কিনে নেওয়া। এছাড়াও যখন নাপা সিরাপটি কিনবেন তার মেয়াদ এবং ডেট দেখে কিনার চেষ্টা করবেন। 

নাপা সিরাপ এর ৫০০ প্রতিক্রিয়া

নাপা সিরাপ আমরা দীর্ঘদিন মেয়াদ অনুযায়ী একটানা খেতে থাকি বা শিশুকেও খাওয়া। তবে আপনি কি নাপা সিরাপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানেন যদি জেনে না থাকেন তাহলে কিওয়ার্ড টি মনোযোগ সহকারে পরুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। 
নাপা সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম কারণ সহ বিস্তারিত জেনে নিন

নাপা সিরাপ সাধারণ ভাবে একটি নিরাপদ ঔষধ হিসেবে নির্বাচন করা হলেও এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা আপনি একটানা খেলে সেটি আপনার শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে আপনি যদি একটানা নাপা খাম তাহলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখার সম্ভাবনা থাকে যদি ও কখনো তেমন কাউকে দেখা যায়নি তবে অনেককে আবার দেখা গিয়েছে তাই আপনি অবশ্যই যেটি খান না কেন সেই ওষুধটি নিয়ম এবং মেয়াদ অনুযায়ী খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 
অতিরিক্ত নাপা খাওয়ার ফলে যে যে সমস্যার শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে তার কিছু নমুনা হচ্ছে বমি বমি ভাব, লিভার দামেজ, কিডনির সমস্যা, রক্তের সমস্যা, অন্য কোন ঔষধ শরীরে একজাস্ট না করা, এলার্জি জাতীয় সমস্যা, ক্লান্তি ইত্যাদি সহ এই সমস্যা গুলো মূলত দেখা দিতে পারে বা প্রভাব ফেলতে পারে আপনার শরীর স্বাস্থ্যের উপরে। তাই অবশ্যই নিয়ম বিধি মেনে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

লেখকের শেষ মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা হয়তো উপরে কিওয়ার্ড গুলো শুরু থেকে শেষ অবধি এই পর্যন্ত পড়ে এসে শেষ মন্তব্যে জানতে পেরেছি যে নাপার দাম কত নাপা সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি নাপা সিরাপ খালি পেটে খাওয়ানো যায় কিনা বোতল খোলার কতদিন পর খাওয়া যাবে ইত্যাদি সহ আরো নানা রকম বিষয় পত্র জেনেছি তাই আপনি যদি এই বিষয় গুলো জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনার আরো আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দিবেন। 

এছাড়াও আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য বক্সে জানিয়ে যাবেন আপনার মন্তব্য আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। এছাড়াও এরপর আপনি কোন বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেটিও অবশ্যই মন্তব্য ব্রক্সে জানিয়ে যাবেন ধন্যবাদ আর্টিকেলটি সুরু অব্দি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url