মেছতা দূর করার ১২ টি উপায় - মেয়ে ও ছেলেদের মেছতা দূর করার উপায়

তাহলে আশা করছি আপনার মেছতার রেজাল্ট এক সপ্তার মধ্যেই মেছতা কত সহজেই দ্রুত দূর হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু মেয়েটার সমস্যাটি ছেলে এবং মেয়েদের উভয়েরই হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আজকের আর্টিকেলে আমি ছেলে এবং মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে 12টি উপায় তুলে ধরেছি। তাই আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ১২ গ বটি উপায় সম্পর্কে জেনে আপনার উপকার হতে পারে। 

.

মেয়ে ও ছেলেদের মেছতা দূর করার উপায় 

 মেছতা দূর করার ১২ টি উপায় 

১. মেছতা দূর করার উপায় হচ্ছে টমেটো রস এটি নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে মেছতা সাবলিম্ভভাবে হালকা হয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা ঘুমানোর আগে যদি আপনি একটি টমেটো কেটে ২ ভাগে এক ভাগ 

অর্থাৎ একটি টমেটোর অর্ধেক হাতে নিয়ে মেছতার স্থানগুলোতে হালকা করে 8 থেকে 10 মিনিট একটানা মেসেজ করতে হবে ত্বকে। এইভাবে নিয়মিত এবং একটানা ৭ থেকে ১৫ দিন করতে হবে তাহলেই আপনি এটি করার ফলে কেমন রেজাল্ট আসছে সেটি অবশ্যই বুঝতে পারবেন। 

আরোও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কদবেল খেলে কি হতে পারে? ক্ষতির দিক ও উপকারিতা 

২. মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল সবুজ চা এবং শসার রস কালো ছাপ দূর করে উজ্জলতা বাড়ায়। তবে এই প্যাকটি তৈরি করার জন্য আপনাকে নিতে হবে দুই চা চামচ মুলতানি মাটি এবং 

দুই থেকে তিন চা চামচ গোলাপজল পরবর্তীতে সেখানে হালকা করে শসা রস দিতে হবে দিয়ে একটি আঠালো ভাবের মতো মেস্তা প্যাক তৈরি করে নিতে হবে সময়ে মুখ থেকে শুরু করে ঘাড় এবং আপনার যেখানে যেখানে মেছতা হয়েছে সেখানে সম্পূর্ণভাবে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তবে এটি আপনারা গোসলের আগে করতে পারেন। 

৩. আলুর রস পিগমেন্ট হালকা এবং স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। একটি আলো প্রশাসহ ধুয়ে নিন এবং সেটির ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে একটি ছাঁকনির সাহায্যে সেই আলুর রসটুকু বের করে নিবেন। 

রস বই করে নেওয়া হয়ে গেলে একটা নরম তুলতুলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে সেই রসগুলো মুখের উপরে হালকা করে কাপড় দিয়ে রস ভিজে ভিজে মেসেজ করবেন। এইভাবে একটানা সাত থেকে ১৫ মিনিট মেসেজ করার পরে ঠান্ডা এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলে দিতে হবে। এইভাবে সপ্তাহের মধ্যে দুই থেকে তিন দিন করে যেতে হবে দুই সপ্তাহের মতো। 

৪. টমেটো ও চন্দন এবং মুলা এটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং ভিটামিন সি থেকে থাকে। তবে এই প্যাকটি তৈরি করতে আপনাকে নিতে হবে একটি টেবিল চামচ টমেটো রস এবং চামচ মুলার রস তার সাথে নিতে হবে এক চা চামচ চন্দন গোড়া এ পেজটা একটু পাতলা করার জন্য এখানে ব্যবহার করতে পারেন 

একটু পরিমাণ গোলাপ জল তবে অবশ্যই মনে রাখবেন দিলেও অতিরিক্ত পরিমাণে দিবেন না তখন দেখা যাবে পেস্টটা একেবারে পাতলা হয়ে যাবে আপনাকে একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যখনই আপনি মেছতার জন্য কোন দেখ রেডি করবেন তখন অবশ্যই সেটি ঘন আকারে থাকতে হবে। 

৫. অ্যালোভেরার জেল ত্বক শান্ত করে এবং মেছতা দূর করে আলুভেরার জেল আপনি রাতে ঘুমানোর আগে মুখে দুই থেকে তিন মিনিট করার পরে মুখে দিয়ে ঘুমাইতে পারেন অথবা চাইলে দিনের বেলায়ও অ্যালোভেরা জেল টিম মুখে দিয়ে দুই তিন মিনিট মেসেজ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো মুখে রেখে দিয়ে ফেলতে পারেন। 

৬. টক দই ও মধু মিশ্রণ ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ত্বকের উজ্জ্বলতা তো বাড়বেই তার পাশাপাশি আপনার ত্বক সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। এই ফেস প্যাকটি তৈরি করার জন্য আপনাকে নিতে হবে দুই টেবিল চামচ টক দই এবং 

এক টেবিল চামচ মধু অথবা দেড় টেবিল চামচ পর্যন্ত মধু নিতে পারেন। মধু এবং টক দই একসঙ্গে মিশ্রণটি ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে মুখ দিয়ে ঠিক বরাবর অন্যগুলো ফেসপ্যাক এর মতোই দুই তিন মিনিট তাই জায়গায় মেসেজ করতে হবে এবং পরবর্তীতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দিয়ে ফেলতে হবে। প্যাকটি ব্যবহার করে না কেন সেটি অবশ্যই মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। 

৭. পেঁপ এবং মধু মিশ্র নিয়মিত ম্যাচ তাই ব্যবহার করার ফলে এটি মৃত কোষগুলোকে দূর করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এজন্যে একটি পেঁপে দুই ভাগের এক ভাগ ব্লেন্ড করে নিয়ে তার রসটুকু বের করে নিবেন এবং তার সাথে একটি টেবিল চামচ মধু পেঁপের রস এবং মধুর মিশ্রণটি একসঙ্গে মিশাতে হবে এবং একটি নরম তুলতুলে কাপড় দিয়ে মুখের মেছতার উপরে দুই থেকে তিন মিনিট আলতো করে মেসেজ করতে হবে। 

৮. আপেল সাইডার ভিনেগার এমন কিছু উপাদান থেকে থাকে যেটি ত্বকের নিয়মিত দেওয়ার ফলে হালকা হয় এবং ধীরে ধীরে মেছতার দূর করতে সাহায্য করে। 

৯. ওটমিল দুধ মধু নিয়মিত ম্যাচ তাই যার ফলে ম্যাচটা দূর করার পাশাপাশি ত্বক সূক্ষ্ম এবং ময়েশ্চারাইজ করে উজ্জ্বল বৃদ্ধি করে। 

১০. হলুদ দুধ বেসনের গুড়ো মেছতা দূর করার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে কালো সাপ দূর করে উজ্জল হয়ে ওঠে। 

১১. লেবুর রস ও চিনি ফলে নেতার ভিতরে থাকা যত রকমের ব্যাকটেরিয়া থেকে থাকে সবগুলো ব্যাকটেরিয়া মরে যে মেছতা দূর হয় এবং ত্বকের মূল্যায়নতা এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে। 

১২. কাঠবাদাম গুড়া এবং মধু নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ভিটামিন সি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ পুষ্টি ত্বকের যুগিয়ে থাকে যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী কারণ তোকে যদি পুষ্টি এবং ভিটামিন সি থাকে তাহলে আপনার তার প্রভাব পড়ে না। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য